জিম্বাবুয়ের কাছে ১ রানে ম্যাচ হেরে যাদেরকে দোষালেন অধিনায়ক বাবর
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২য় অঘটনের দেখা, তবে এবার আর কোন সাহায্য নেই বৃষ্টির। বরং নিজেদের যোগ্যতায়ই পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
যেখানে সবাই সহজ এক জয়ের অপেক্ষা করছিল পাকিস্তানের সেখানে তাদের কে স্তব্ধ করে দিয়ে শেষ হাসি হাসলো জিম্বাবুয়ে।
ছোট লক্ষ তারা করতে গিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। এই ম্যাচেও ব্যর্থ ছিল পাকিস্তানের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রেজওয়ান। বাবর আজম এই ম্যাচে ৪ রান করে বিদায় নেন ব্রাড ইভান্সের বলে। ব্যক্তিগত ১৪ এবং দলীয় ২৩ রানে বিদায় নেন মোঃ রিজওয়ান। এরপর ইফতেখার আহমেদ দলীয় ৩৬ রানে ১০ বলে ৫ রান করে বিদায় নিলে শঙ্কা চেপে বসে পরাজয়ের। শঙ্কা কাটিয়ে সেখান থেকে পাকিস্তান কে ধিরে ধিরে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন শান মাসুদ এবং শাদাব খান।
দুজনের ৫২ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে দেন সিকান্দার রাজা, ১৭ রানে সাদাব খান কে বিদায় করলে ম্যাচে ফিরে জিম্বাবুয়ে। পরের বলেই লেগ বিফোরে কোন রান না করেই বিদায় নেন হায়দার আলি।
এক ওভার পর যখন রাজার ৩য় শিকার হয়ে দলের সর্বোচ্চ ৪৪ রান করা শান মাসুদ বিদায় নেন স্ট্যাম্পিংয়ে, তখন পুরোপুরি ম্যাচের লাগামটাই নিজেদের দিকে টেনে নেয় জিম্বাবুয়ে।
৪ ওভারে দরকার ছিল ৩২ সেখানে অসাধারন এক ওভারে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়িয়ে দেন এনগারাভা! শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৯ রানের। সেখান থেকে এক রানের অবিশ্বাস্য জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে।ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম জানান,” খুবই হতাশা জনক পারফরম্যান্স ছিল, আমাদের ব্যাটিং এর সেরাটা আমরা দিতে পারিনি। প্রথম ৬ ওভারে আমরা নতুন বল ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারিনি। সাদাব আউট হবার পর আমরা দ্রুত উইকেট হারিয়েছিলাম। ” ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে দেখছেন অধিনায়ক বাবর